ইতিহাসের পাতায় ঢুকে গেলেন মাহেলা জয়াবর্ধনে। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম সাক্ষী হয়ে থাকল তাঁর অনন্য সাফল্য কীর্তির। বিশ্বকাপ ফাইনালে মাহেলার শতরান হাঁকানোর দুর্লভ কৃতিত্ব শ্রীলঙ্কাকে এনে দিয়েছে দারুণ এক সংগ্রহ। প্রথমে ব্যাট করে লঙ্কানদের ২৭৪ রানের ইনিংসে মাহেলার অবদান অপরাজিত ১০৩ রান। এই অনন্য শতকটি এসেছে মাত্র ৮৪ বলে।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে এর আগে সেঞ্চুরি করেছেন মাত্র পাঁচজন। ক্লাইভ লয়েড, ভিভ রিচার্ডস, অরবিন্দ ডি সিলভা, রিকি পন্টিং ও অ্যাডাম গিলক্রিস্ট এর আগে সেঞ্চুরি করে নিজের দেশকে বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করেছেন। পরিসংখ্যান বলছে, এর আগে বিশ্বকাপের ফাইনালে সেঞ্চুরি করা প্রত্যেকেই ছিলেন বিজয়ী দলে, সে হিসেবে মাহেলার শতকটি কি শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ের পূর্ব লক্ষণ? এ ব্যাপারে মন্তব্য করার সময় এখন না হলেও মাহেলার সেঞ্চুরিটি যে শ্রীলঙ্কাকে মানসিকভাবে অনেকটাই এগিয়ে দেবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। জহির খানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রথম থেকেই অবশ্য চাপে পড়ে গিয়েছিলেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। স্কোর বোর্ডে বলার মতো কোনো সংগ্রহ ওঠার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন উপুল থারাঙ্গা। এরপর কুমার সাঙ্গাকারা ও তিলকরত্নে দিলশানের ব্যাটিংয়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার রসদ থাকলেও তা তেমন আক্রমণাত্মক ছিল না। সাঙ্গাকারা আউট হয়ে যাওয়ার পরে সামারাবীরাকে সঙ্গী করে ধীরে ধীরে ভারতীয় বোলারদের ওপর চড়াও হতে থাকলেও জয়াবর্ধনে। এরপর একে একে কুলাসেকেরা ও তুষারা পেরেরার সঙ্গে জুটি বেঁধে শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে গেলেন দারুণ এক সংগ্রহের পথে।
২০০৭ সালের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ছিলেন জয়াবর্ধনে। বৃষ্টি-বিঘ্নিত ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজয়ের পরপরই স্বেচ্ছায় অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। এবার বিশ্বকাপের পরপরই ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন স্টাইলিশ এই ব্যাটসম্যান। তবে আসল সময়ে ঠিকই জ্বলে উঠল তাঁর ব্যাট। যে জ্বলে ওঠা ইতিহাসে অমরত্বের প্রথম ধাপ মাত্র। এখন শ্রীলঙ্কান বোলারদের দায়িত্ব জয়াবর্ধনের ইনিংসকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা।
লঙ্কান বোলাররা কি সেটা করতে পারবেন?
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।