শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থী নির্যাতন নিষিদ্ধ হলেও কোনো শিক্ষার্থী ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে জরিমানা, অন্যথায় বেত্রাঘাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক মাস ধরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মেমোরিয়াল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ক্লাসে অনুপস্থিত থাকায় গত সোমবার একজন ও মঙ্গলবার দুজন ছাত্রকে বেত্রাঘাত করে গুরুতর জখম করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার ক্লাস বর্জন করে। একপর্যায়ে অধ্যক্ষ শ্রেণীকক্ষে তালা লাগিয়ে দেন।
দশম শ্রেণীর ছাত্র সোবহান ও রিপন জানায়, সোমবার বিদ্যালয়ে না আসার কারণে মঙ্গলবার সকালে ক্লাস চলাকালে অধ্যক্ষ ইয়াকুব আলী ছাত্রদের কাছে জরিমানার টাকা চান। এ সময় কয়েকজন টাকা দিলেও কয়েকজন অপারগতা প্রকাশ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অধ্যক্ষ তাদের বেত্রাঘাত করেন।
এদের একজন আহত বোরহান জানায়, বেত্রাঘাতের একপর্যায়ে তার হাতের তালু ফেটে রক্ত বের হতে থাকলে ক্লাসের অন্য ছাত্ররা হৈ-হুল্লোড় করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে অধ্যক্ষ তাদের বের করে দিয়ে কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন। একই কারণে সোমবার একই ক্লাসের ইলিয়াসকে বেধড়ক পেটানো হয়েছে।
অধ্যক্ষ ইয়াকুব আলী বলেন, ‘স্কুলের কোনো শিক্ষার্থী ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার কাছ থেকে রসিদের মাধ্যমে ১০ টাকা করে জরিমানা নেওয়ার নিয়ম করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় উল্লিখিত ছাত্রদের বেত্রাঘাত করা হয়েছে।’ তবে অধ্যক্ষ কক্ষে তালা ঝোলানোর কথা অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাব্বত হোসেন সরকার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাতের কোনো নিয়ম নেই। জরিমানা আদায় করাও অবৈধ। তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিষয় সমুহ...
বিভাগীও শহর তথ্য কনিকা
আরো কিছু গুরুত্তপূর্ণ বিষয়...
হয় জরিমানা নয় বেত্রাঘাত
বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ, ২০১১অন্তরভুক্ত বিষয় লেখকের কলাম
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।