সরকার চাইলেই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাবে

রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০১১

বাংলাদেশে ক্রসফায়ারের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে রাষ্ট্র নিজেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। গতকাল শনিবার ঢাকায় মানবাধিকার সংরক্ষকদের এক সম্মেলনে দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা এ অভিযোগ করেন। তাঁদের মতে, বাংলাদেশ সরকার চাইলেই এই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাবে।
কারিতাস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটে ‘অধিকার’ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিচারব্যবস্থার দুর্বলতা, বিচারপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা ও আইন প্রয়োগকারীদের প্রশিক্ষণের অভাব দূর না করে রাষ্ট্র বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে অপরাধ দমনের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশি হেফাজতে কিংবা কথিত ক্রসফায়ারে মৃত্যুর ঘটনা বন্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এখনই একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা উচিত। যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠবে, তাঁকে যদি তৎ ক্ষণাৎ সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যবস্থা চালু থাকে, তাহলে এসব হত্যাকাণ্ড আর ঘটবে না।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক মীনাক্ষি গাঙ্গুলি বলেন, কথিত ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধ সন্ত্রাস দমনের কার্যকর কোনো উপায় নয়। সেটা হলে প্রায় সাত বছর আগে র্যা ব প্রতিষ্ঠা হয়েছে, এত দিনে বাংলাদেশের সব সন্ত্রাসী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার কথা। যারা রয়েছে তাদেরও পালিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তা ঘটেনি। বরং র্যা বের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিবিশেষের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ উঠছে। এটা কাম্য নয়। তিনি র্যা বকে জবাবদিহির মধ্যে আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সম্মেলনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এশীয়-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের গবেষক আব্বাস ফায়েজ মানবাধিকার সংরক্ষকদের দায়িত্ব ও ভূমিকার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘চার-পাঁচ বছর আগের তুলনায় বাংলাদেশে সাংবাদিক ও মানবাধিকার-কর্মীদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা কমেছে। কিন্তু ক্রসফায়ার কিংবা পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা বন্ধ হয়নি। ঘাতকেরা ক্ষমা পেয়ে যাচ্ছে। সরকার যদি এখনই দু-তিনটি ঘটনা তদন্ত করে এবং নিরপেক্ষ বিচারের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের সাজা দেয়, তাহলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হবে।’
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন অধিকারের উপদেষ্টা ফরহাদ মজহার এবং সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান। সম্মেলনে দেশের ৪০টি জেলার ৫৯ জন মানবাধিকারকর্মী অংশ নেন।

0 আপনার মতামত:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।

Avro Keyboard - Unicode Compliant FREE Bangla Typing Softwareবাংলা লিখার সপ্টওয়্যার আভ্র ডাউনলোড করতে খানে ক্লিক করুন
 
 
 

বিশাল বাংলা

কম্পিউটার প্রতিদিন

রাজনীতি...

বিনোদন

খেলার খবর

অর্থ ও বাণিজ্য