রূপসী বাংলাদেশ
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, গতকালের পর আজ বাংলা বিষয়ের ‘রূপসী বাংলাদেশ’ প্রবন্ধ থেকে একটি নমুনা প্রশ্নোত্তরের শেষ অংশ আলোচনা করব। এ ধরনের অন্য প্রশ্নোত্তরের জন্য বিষয়বস্তুটি ভালভাবে পড়বে।
প্রশ্ন: ঘ. ‘সারা আকাশ যেন উপুড় হয়ে দেখছে সে সৌন্দর্য’—এখানে কোন সৌন্দর্যের কথা বর্ণনা করা হয়েছে, উদ্দীপকের আলোকে বাক্যটি বিশ্লেষণ করো।
উত্ত: ঘ. উদ্ধৃতাংশে বাংলাদেশের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা করা হয়েছে। লেখক মঞ্জুশ্রী চৌধুরীর স্বদেশপ্রীতির উজ্জ্বল নিদর্শন আলোচ্য ‘রূপসী বাংলাদেশ’ প্রবন্ধটি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি আমাদের এ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের দ্বীপমালার বিচিত্র রূপ, জ্যোৎস্নালোকিত স্নিগ্ধ রাত, দিগন্তজোড়া শ্যামল শোভা আর তরঙ্গের উদ্বেল নদ-নদী এ দেশের প্রকৃতিকে মনোহর ও বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে। দক্ষিণাঞ্চলের সুনীল সাগরের বুক আলো করে আছে সুশোভন বাগ-বাগিচা। ফেনিল নদীমুখ ছুঁয়ে প্রসারিত সুন্দরবন। এখানে সবুজ দ্বীপের ছায়ায় সুনিবিড় অঞ্চলে মানুষ ঘর বাঁধে। সাগর আর মানুষের মাঝে গড়ে ওঠে মিতালি। কখনো সাগরের বিশাল জলরাশির উন্মত্ত গর্জনে ফুঁসে ওঠা জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায় মানুষের ঘরবাড়ি, নিভিয়ে দেয় তাদের আশার আলো। আবারও স্বপ্ন দেখে ঘর বাঁধে মানুষেরা। প্রশান্ত সাগরের সঙ্গে আবারও মিতালি করে মানুষ। তখন রাতের সাগরে যত দূর দৃষ্টি চলে, নয়নশোভন দীপাবলি উৎসব। জেলে নৌকার লণ্ঠনের আলো ঢেউয়ের বুকে দুলছে কত রূপে, কত ছন্দে! এ আলোকের প্রতিফলন ঘটে মেঘমুক্ত আকাশে। প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্যই লেখকের দৃষ্টিতে সারা আকাশ যেন উপুড় হয়ে উপভোগ করে থাকে। পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশের উপকূলীয় দ্বীপাঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যিই অপূর্ব, মনোহর ও নয়নাভিরাম। সৌন্দর্যময় বাংলার দক্ষিণাঞ্চলের বাস্তব বর্ণনা লেখকের তুলির আঁচড়ে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।