কুমিল্লা জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
কুমিল্লা একসময় বর্তমান ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ ছিল এবং সেই সময় নোয়াখালীও এর অংশ ছিল। ১৭৩৩ সালে বাংলার নবাব শুজাউদ্দিন ত্রিপুরা রাজ্য আক্রমণ করে এর সমতল অংশ সুবে বাংলার অন্তর্ভুক্ত করেন।
১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কুমিল্লা দখল করে। ১৭৮১ সালে নোয়াখালীকে কুমিল্লা থেকে পৃথক করা হয়। ১৭৯০ সালে কোম্পানী শাসনামলে ত্রিপুরা নামের জেলার সৃষ্টি। ১৯৬০ সালে জেলার নাম করা হয় কুমিল্লা। ১৯৮৪ সালে, দেশের অন্যান্য মহকুমার মতো এর দুইটি মহকুমা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর জেলায় উন্নীত হয়।
ভৌগলিক সীমানা
উত্তরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, দক্ষিণে নোয়াখালী ও ফেনী, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা এবং পশ্চিমে মুন্সীগঞ্জ ও চাঁদপুর জেলা।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
কুমিল্লা জেলার উপজেলা গুলি হল -
কুমিল্লা সদর উপজেলা
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা
বরুরা উপজেলা
চান্দিনা উপজেলা
দাউদকান্দি উপজেলা
লাকসাম উপজেলা
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা
বুড়িচং উপজেলা
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা
দেবীদ্বার উপজেলা
হোমনা উপজেলা
মুরাদনগর উপজেলা
লাঙ্গলকোট উপজেলা
মেঘনা উপজেলা
তিতাস উপজেলা
মনোহরগঞ্জ উপজেলা
চিত্তাকর্ষক স্থান
কুমিল্লা জেলার চিত্তাকর্ষন স্থান গুলোর কথা চিন্তা করলেই প্রথমেই আসে ময়নামতির নাম। এই স্থানটি কুমিল্লার অন্যতম দর্শনীয় স্থান। ময়নামতি ছাড়াও কুমিল্লার ক্যান্টরম্যান্ট এলাকায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শহীদ হওয়া পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সৈনিকদের কবর রয়েছে। ময়নামতিতে শালবন বিহার, কুটিলা মুড়া, চন্দ্রমুড়া, রূপবন মুড়া, ইটাখোলা মুড়া, সতের রত্নমুড়া, রাণীর বাংলার পাহাড়, আনন্দ বাজার প্রাসাদ, ভোজ রাজদের প্রাসাদ, চন্ডীমুড়া প্রভৃতি ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে। এসব বিহার ও মঠ থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ময়নামতি জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। রসমালাই নামক বিখ্যাত মিষ্টি কুমিল্লায় তৈরী করা হয়।
কুমিল্লা জেলার ওয়েব সাইটঃ www.dccomilla.gov.bd
বিষয় সমুহ...
বিভাগীও শহর তথ্য কনিকা
আরো কিছু গুরুত্তপূর্ণ বিষয়...
কুমিল্লা জেলার পটভূমি
বুধবার, ৯ মার্চ, ২০১১অন্তরভুক্ত বিষয় চট্রগ্রাম বিভাগ
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 আপনার মতামত:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এমন কোন মন্তব্য করবেন না যা রাজনীতিক বা সামাজিক ভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে।